গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর গ্রামে বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ কর্তৃক পরিচালিত “হোপ ফর চিলড্রেন” প্রজেক্টের উদ্যোগে ২৯ জন রেজিস্টার শিশুর পরিবারের মধ্যে ৫৮টি ছাগল বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি রেজিস্টার শিশুর পরিবারকে দুইটি করে ছাগল প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট জন বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ, কালামপুরের ডিকন জয়দেব বর্মন এবং সঞ্চালনা করেন “হোপ ফর চিলড্রেন” কালামপুর প্রজেক্টের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আর্চডায়োসিসের সম্মানিত ভিকার জেনারেল রেভারেন্ড ফাদার পিটার বর্মন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন “হোপ ফর চিলড্রেন” বাংলাদেশ-এর ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ২৯ জন উপকারভোগী রেজিস্টার শিশুর পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “হোপ ফর চিলড্রেন প্রজেক্ট গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কালামপুর এলাকায় শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চারিত্রিক গঠনসহ কমিউনিটির সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই সময়ে আমরা শিশুদের জন্য শিক্ষা সামগ্রী, কমিউনিটিদের জন্য শাকসবজির বীজ ও চারা, ছাগল বিতরণ এবং সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। আজ ২৯ জন রেজিস্টার শিশুর পরিবারের মাঝে ২টি করে ছাগল বিতরণ করছি—যেন তারা এই ছাগল পালন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন এবং তাদের সন্তানদের শিক্ষার উন্নয়নে সহায়তা করতে পারেন। ছাগল বিক্রির জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতে যেন এই উদ্যোগ আপনাদের জীবনমান উন্নয়নের একটি দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ায়।”
বিশেষ অতিথি সজীব ত্রিপুরা বলেন, “হোপ ফর চিলড্রেন প্রজেক্ট আপনাদের শিশুদের জন্য বিনামূল্যে টিউশন সুবিধা দিচ্ছে। আজ ছাগল বিতরণ করা হলো, কেউ কেউ আবার শাকসবজির বীজ ও চারা পাচ্ছেন। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চাই আপনারা এবং আপনার পরিবার ও কমিউনিটি সার্বিকভাবে উন্নত হোক এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হোন।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান প্রজেক্টের সমাজকর্মী সুজান বর্মন। পরে সভাপতিত্বকারী ডিকন জয়দেব বর্মন ছাগল বিতরণের প্রথম অধিবেশন শেষ ঘোষণা করেন।
প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি উপকারভোগীদের মাঝে ছাগল তুলে দেন।
ছাগল পেয়ে খুশি হয়ে উপকারভোগী শাহ আলম হোসেন বলেন, “আমরা আজ খুব আনন্দিত। `হোপ ফর চিলড্রেন` কালামপুর প্রজেক্ট আমাদের পরিবারকে দুটি করে ছাগল দিয়েছে এবং শিশুদের পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রীও প্রদান করে থাকে। এ জন্য আমরা প্রজেক্টের সকল কর্মকর্তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

