অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলায় হামেশা ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়। সোনারগাঁ থানা পুলিশ পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী এলাকায় হামেশা ফুড লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে আসাদুল ইসলাম আটা-ময়দার ব্যবসা করতেন। ব্যবসার আড়ালে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সদর ও ঢাকার অর্থঋণ আদালতে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা। এসব মামলায় আদালত থেকে তার বিভিন্ন মেয়াদের সাজা হয়। সেই মামলাগুলোর ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসাদুল ইসলাম সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী ওরফে ডা. মাহমুদের ছেলে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ইমাম পরিচয়ে আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন এবং ব্যবসার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। অর্থ ফেরত চাইতে গেলে তিনি পাওনাদারদের মারধর ও হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এসব ঘটনায় সোনারগাঁ থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা ও একাধিক সাধারণ ডায়েরি রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অর্থ আত্মসাতের এক ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকার তানভীর ফ্লাওয়ার অ্যান্ড ডাল মিলসের কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসাইন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, হামেশা ফুড লিমিটেডের সঙ্গে তানভীর ফ্লাওয়ার অ্যান্ড ডাল মিলসের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে আসাদুল ইসলাম প্রতারণা করে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার কাঁচামাল আত্মসাৎ করেন। টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি ভুক্তভোগী মাহমুদ হোসাইনকে মারধর করেন এবং বিভিন্ন হুমকি দেন। পরে আসাদুল ইসলাম পাওনা টাকা না দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

