কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যৌতুকের দাবিতে নববধূ ছাবরিনা বেগম রুমকি (২০) শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ভৈরব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর র্যাব-১৪, সিপিসি-২ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি এবং রুমকির স্বামী রহিম মিয়া (৩০) গ্রেফতার করেছেন।
প্রতিবেদনে জানা যায়, রুমকির বিয়ে হয় ২০২৪ সালের ১১ অক্টোবর একই উপজেলার টুকচানপুর গ্রামের রহিম মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে রুমকির পরিবার নগদ ২ লাখ টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালংকার (মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা) এবং দেড় লাখ টাকার আসবাবপত্র প্রদান করেন।
বিয়ের পর থেকে রহিম মিয়া ও তার পরিবার—বাবা মোস্তফা মিয়া, মা মনোয়ারা বেগম, আত্মীয় মামী আফরোজা বেগম, মামাতো ভাই সরমিন মিয়া ও আসিফ মিয়া—নিরন্তরভাবে আরও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে রুমকিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে।
অভিযোগে উল্লেখ আছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে রুমকিকে আরও ৫ লাখ টাকা দিতে চাপানো হলে স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা করেন এবং লাঠি, রড ও ঘুষি-লাথি দিয়ে গুরুতর জখম করেন। এতে রুমকির শরীরে নীলাফুলা জখম ও তলপেটে রক্তপাত হয়। পরে রুমকিকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হয় এবং তার স্বর্ণালংকার রেখে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা—মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, রুবেল মিয়া ও শাহানা বেগম—এই ঘটনার সাক্ষী। রুমকি জানান, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের অজুহাতে তাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, তাই তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার জানান, মামলার ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রহিম মিয়াকে ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে