আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে গোপালগঞ্জ-১ (কাশিয়ানী- মুকসুদপুর) আসনের রাজনীতি। ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এখন সবচেয়ে আলোচনায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম।
দলের কঠিন সময়েও অবিচল থাকা, দুঃসময়ে দলের পাশে থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার কারণে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বিগত ৩৮ বছর যাবৎ দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। বিগত দিনে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনায় বিগত স্বৈরাচার এরশাদের ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারের আমলে, দ্রব্য মূল্যের বৃদ্ধি, বিভিন্ন দাবি আদায়, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যা সমাধানে, জনসাধারণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দাবি ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা সহ অবৈধ সরকার পতন আন্দোলন কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ বহু কাজ করেছেন তিনি এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাড় এই তিন গুণেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি এবং মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, সুখেদুঃখে পাশে থাকা এবং বিএনপি`র দলের প্রচার প্রচারণার দায়িত্বপূর্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার কারণে পুলিশে নিয়ন্ত্রিত ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়ে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল এবং দলীয় ইমেজ সমুন্নত রাখায় এখন অনেকেই বলছেন, দুঃসময়ের সেলিমুজ্জামান`ই হতে পারেন কাশিয়ানী-মুকসুদপুরের বিএনপির শক্ত প্রার্থী।
দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে কাশিয়ানী-মুকসুদপুর এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে তিনি রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। এলাকার উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণসহ বিভিন্ন জনসেবামূলক কার্যক্রমের কারণে তিনি জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে নির্বাচনী এলাকায় বিরামহীন গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার ইউনিয়ন, হাটবাজার ও গ্রামাঞ্চলে তিনি নিয়মিত উঠান বৈঠক ও কর্মীসভা করছেন। এসব কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে, যা তৃণমূল রাজ-নীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে।
ছাত্র রাজনীতির সকল পর্যায়ের নেতৃত্বে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রাজনীতির পথচলা শুরু করেন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব সামলান। বর্তমানে তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০০৮ সালে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে গোপালগঞ্জ-১ আসন কাশিয়ানী-মুকসুদপুর থেকে ভোটের লড়াই করছেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবন ও সাংগঠনিক দক্ষতা ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজর কেড়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ছাত্র রাজনীতির সকল পর্যায়ের নেতৃত্বে থেকে উঠে আশার অভিজ্ঞতা, আর্থিক সক্ষমতা ও স্থানীয় সংযোগ এই তিনটি উপাদান সেলিমুজ্জামান কে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রেখেছে। যদিও অন্য কয়েকজন প্রার্থীও সক্রিয়, তবে তৃণমূলের আস্থা ও সাধারণ জনগণের সমর্থন তাকে বিশেষভাবে আলোচনায় এনেছে।
নিজের রাজনৈতিক পথচলা সম্পর্কে সেলিমুজ্জামান বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রাজনীতির পথচলা শুরু করি। এরপর আমি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। বর্তমানে আমি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।
তিনি আরও বলেন, দলের দুর্দিনে তারেক রহমানের নির্দেশে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি, যা এখনও চলমান। আমি সবসময় একটি স্বচ্ছ, আদর্শিক ও জনগণমুখী রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেয়, তবে জনগণের আস্থা অর্জন করে বিপুল ভোটে বিজয় নিশ্চিত করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
বঞ্চনার উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি নিজ আসন নিয়ে তিনি বলেন, কাশিয়ানী - মুকসুদপুরের মানুষ দীর্ঘদিন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এই অঞ্চলে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রতিটি পরিবারে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে