কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বালতির পানিতে চাপা দিয়ে এক মাস বয়সী শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মা তাহমিনা আক্তার মুন্নীর (২৫) বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাট্টা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশুর নাম নূর হাসান তোহা। সে ওই গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দুপুরেও মা তাহমিনার কোলে ছিল শিশু তোহা। দুপুরের দিকে শিশুর বাবা নূর মোহাম্মদ বাড়িতে এসে দেখেন, স্ত্রী মাটিতে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তখন শিশুটিকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাহমিনা নিজেই ঘরের একটি বালতির দিকে ইশারা করেন। সেখানে খোঁজ করতেই দেখা যায়, বালতির পানিতে শিশুটির মরদেহ।
এসময় তাহমিনা আক্তার মুন্নী নিজেই শিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিছুক্ষণ পরই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
স্থানীয়দের দাবি, তাহমিনা দীর্ঘদিন ধরেই মানসিকভাবে অস্থির আচরণ করতেন। পরিবার থেকেও বেশ কয়েকবার কবিরাজি চিকিৎসা করানো হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তিনি নিজের সন্তানকে হত্যা করেছেন।
ঘটনার পর কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোস্তফা বলেন, “ঘটনার সময় শিশুর মা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন বলে মনে হয়েছে। বালতির ভেতর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”
বর্তমানে তাহমিনা অচেতন অবস্থায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, “সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। শিশুর মা অসুস্থ থাকায় তাকে পরিবারের জিম্মায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে