চেক প্রত্যাখ্যান (ডিজঅনার) মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম ওরফে ‘চাইনিজ রফিক’-কে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) বিচারক আব্দুল বাশির মো. নাহিদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
রফিকুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্টপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ বাদী হাম্মাদ আলী মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ব্যবসায়িক প্রয়োজনে রফিকুল ইসলাম বাদীর কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২০ জানুয়ারি তিনি প্রাইম ব্যাংকের ১০ লাখ টাকার চারটি চেক দেন।
২৪ জানুয়ারি চেকগুলো ব্যাংকে জমা দিলে ৩ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, উল্লিখিত হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় চেকগুলো প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি বাদী লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এবং কোনো সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী রবিউল ইসলাম আরজি বলেন, “১২ বছর পর আদালত এ মামলার রায় দিয়েছেন। রায়ে আসামিকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও চেকের ৪০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।”
অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, “এটি একটি মিথ্যা মামলা। জমি বায়নার সময় চেকগুলো দিয়েছিলাম। পরে জমির রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হলে চেক ফেরত চাইলে বাদী নানা অজুহাতে ফেরত দেননি। পরবর্তীতে দেখি উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আমার বাবার কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা নেয়ার পরও বাদী চেক ফেরত দেননি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ফরমায়েশি রায় করানো হয়েছে। আমি জামিন নিয়ে আপিল করব।”
প্রসঙ্গত, রফিকুল ইসলাম ওরফে চাইনিজ রফিক ২০২২ সাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
একুশে সংবাদ/এ.জে