নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশেঁ ইউনিয়নের বাঁকাপুর হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বজনীন সামাজিক কমিটির উদ্যোগে সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বাঁকাপুর সার্বজনীন শিবমন্দির প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে দেবত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি কমল মন্ডল। বক্তব্য রাখেন গোপেস্বর মিস্ত্রি, রামচন্দ্র মন্ডল, রাজেন্দ্রনাথ সরকার, রামপদ সরকারসহ অন্যান্য সদস্যরা। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক ব্যক্তি এতে উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে রাজেন্দ্রনাথ, প্রফুল্ল চন্দ্র মন্ডল, সূর্যকান্ত মন্ডল, ব্রজেন্দ্রনাথ সরকার, দিলিপ প্রামানিক, সঞ্জিত কুমার প্রামানিক দাস, নিমাই চন্দ্র, উৎপল চন্দ্র, রতন কুমার সরকার ও মিঠুন কুমার প্রামানিক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বক্তারা জানান, বাঁকাপুর মৌজার ৪৭৫, ৫২৭ ও ৪২৪ নং হাল খতিয়ানের আওতাধীন ২১১২, ১২৯৩, ১২১৫, ২৩৮২ ও ১২৭৬ দাগভুক্ত সব দেবত্তর ও ধর্মীয় সম্পত্তি কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। এসব জমি শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের মাঝে লিজের মাধ্যমে দেওয়া হবে। লিজগ্রহীতাকে নিজে চাষাবাদ করতে হবে এবং জমি অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করা যাবে না।
কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, লিজপ্রাপ্ত অর্থ ধর্মীয় ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে সংরক্ষণ করা হবে। কমিটির মেয়াদ তিন বছর নির্ধারণ করা হয়েছে এবং মেয়াদ শেষে উভয় পক্ষের সমান সদস্য নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া, জিম্মাদার বা ভিপি সম্পত্তি আইনগতভাবে দেবত্তর নামে রেকর্ডভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের করুণা, পরিমল, বিপুল, স্বপন, তপন, রতন, শ্রীপদ, ইন্দ্রজিৎ সরদার, নিপেন, নিরাঞ্জন সাহা, কালীপদ, মৃগেন, আনন্দ, পরি সাহা, গৌতম ও সৈলেশ গং অবৈধভাবে এসব জমি দখল করেছিলেন। সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় জমিগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
তবে একটি মহল স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত গ্রাম পুলিশের প্ররোচনায় মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বলে দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং জনমত গঠনের আহ্বান করা হয়।
একুশে সংবাদ/এ.জে