নওগাঁয় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সম্পত্তি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতিপূরণের চেক জমির মালিকদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জমির মালিকদের হাতে এসব চেক তুলে দেন।
এদিন জেলার মহাদেবপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ও দোহালী মৌজায় আত্রাই ব্রিজের অ্যাপ্রোচ/অ্যাকসেস সড়ক নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়।
এ সময় গোপীনাথপুর গ্রামের ধনপতি সরকারের ছেলে সুধৃতি কুমার সরকারের হাতে গাছপালার মূল্য বাবদ ১৯ হাজার ৫০২ টাকা এবং জমির মূল্য বাবদ মোট ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮২০ টাকার দুটি চেক প্রদান করা হয়। একই গ্রামের কালিপদ সরকারের ছেলে হারাধন সরকারের হাতে জমির মূল্য বাবদ ৮২ হাজার ৮৯১ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
অপরদিকে “নওগাঁ সড়ক বিভাগাধীন ৩টি আঞ্চলিক ও ৩টি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ” প্রকল্পের আওতায় বদলগাছী উপজেলার গোয়ালভিটা মৌজায় ঐতিহাসিক পাহাড়পুর সড়ক নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি ও গাছপালার মূল্য বাবদ জয়পুরহাট জেলার শান্তিনগর গ্রামের আবু তাহের মণ্ডলের ছেলে মো. ছানোয়ারের হাতে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার ১২২ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সোহেল রানা, জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন,
“ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে কাউকে কোনো ধরনের অনৈতিক অর্থ প্রদান করতে হবে না। এটি সম্পূর্ণ সরকারি প্রক্রিয়া, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়। জেলা প্রশাসকের দপ্তরে অর্থ পৌঁছানোর পরই নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসারে জমির মালিকদের হাতে তা তুলে দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, “প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। কিন্তু এ নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা দুঃখজনক এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের জন্য বিব্রতকর। তাই যেকোনো বিষয়ে অভিযোগ করার আগে তথ্য যাচাই করে যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করার আহ্বান জানাই।”
একুশে সংবাদ/এ.জে