AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চলে প্লাবন শুরু, নদীভাঙনের শঙ্কা বেড়েছে


Ekushey Sangbad
মো. দিল, সিরাজগঞ্জ
০৫:৩৫ পিএম, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চলে প্লাবন শুরু, নদীভাঙনের শঙ্কা বেড়েছে

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আজ (৬ অক্টোবর ) সকাল ৬টায় কাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ দুটি পয়েন্টেই পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে নদীভাঙন ও প্লাবনের।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, কাজীপুর পয়েন্টে আজ সোমবার সকাল ৬টায় পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২.১১ মিটার যা বিপদসীমা ১৪.৮০ মিটার থেকে ২৬৯ সেন্টিমিটার নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই পয়েন্টে পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৫৬ মিটার  যা বিপদসীমা ১২.৯০ মিটার থেকে ২৩৪ সেন্টিমিটার নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানেও পানি ২ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী ব‌লে, মোঃ মোখলেছুর রহমান,

উজানের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে যমুনা নদীর পানি সামান্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও বর্তমানে পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে, তবে যদি আগামী কয়েকদিন উজানে আরও বৃষ্টিপাত হয়, তাহলে নিম্নাঞ্চলে সাময়িক প্লাবন দেখা দিতে পারে। আমরা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি।

এদিকে নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় ফসলি জমি ও চরাঞ্চলগুলোতে হালকা প্লাবনের খবর পাওয়া গেছে।

কাজীপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়নের বাসিন্দা আলহাজ্ব রশিদ মিয়া বলেন, গত দুই দিনে পানি বেড়ে ধানক্ষেতে ঢুকে পড়েছে। এখন যদি আরও বাড়ে, তবে পাকা ধান ও সবজির ক্ষতি হতে পারে।

অন্যদিকে চৌহালী উপজেলায় যমুনার তীব্র স্রোতের কারণে নদীভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, প্রতিবার বর্ষার সময় যেভাবে ভাঙন শুরু হয়, এবারও তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড আগে থেকেই ব্যবস্থা না নিলে কয়েকটি ঘরবাড়ি নদীতে চলে যাবে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কৃষি কার্যক্রমে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

প্রসঙ্গত, যমুনা নদীর পানি সাধারণত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকে। তবে সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধির এ প্রবণতা কিছুটা অস্বাভাবিক বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!