নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের উত্তর থানা আমীর মাহফুজুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের ওপর হামলা চালানো এবং বেশ কয়েকজন কর্মীকে মারপিট করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবী করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার এবং জেলা সেক্রেটারী মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে জনসাধারণের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ।”
জানা গেছে, নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় এবং তারৈল পূজা মন্ডপের খোজ খবর নিয়ে ফেরার পথে স্থানীয় বিএনপি কর্মী বাদশা মিয়া ও আবদুস সালামের নেতৃত্বে বিএনপি পরিচয়প্রাপ্ত কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল লোক তাদের পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। একই দিনে তারা জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় এবং আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী আনোয়ার হোসাইন মোল্লার ফেস্টুন ভাঙচুর ও ছিড়ে ফেলে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের পর দেশবাসী মত প্রকাশ ও গণতন্ত্র চর্চার অবাধ পরিবেশের প্রত্যাশা করেছিল। জুলাই আন্দোলনসহ সতেরো বছরের সংগ্রামে অসংখ্য মানুষের জীবন ও ত্যাগের বিনিময়ে যে মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি, সেখানে এইভাবে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কর্মী বাহিনীকে পথরোধ করে লাঞ্ছিত করা, মারধর করা ও অস্ত্রের মহড়া দেওয়া আইন ও গণতন্ত্রের সাথে যায় না। এ ধরনের কর্মকান্ড মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।”
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে যেখানে সকলের কাছে গণতান্ত্রিক ও ন্যায়নুগ আচরণ কাম্য, সেখানে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের কর্মী পরিচয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কার্যকর্তাদের সাংগঠনিক কাজে বাধা দেওয়া, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা, ফেস্টুন ভেঙে ফেলা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমরা তাদের এই ন্যাক্কারজনক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে তাদের কর্মীদের এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ হতে বিরত রাখার আহ্বান জানাই।”
একুশে সংবাদ/এ.জে