পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) নবনিযুক্ত প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপকদের জন্য “উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় নৈতিক মানদণ্ড ও পেশাগত সততা” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সেমিনার কক্ষে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষা কেবল ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যম নয়, এটি মানুষের চরিত্র ও মননের বিকাশের পথ। শিক্ষক যদি নিজেই নৈতিক মানদণ্ড ও সততায় অটল থাকেন, তবে শিক্ষার্থীরাও সেই আলোয় আলোকিত হবে।”
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, “শিক্ষক শুধু পাঠদানকারী নন, বরং শিক্ষার্থীর জন্য অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করা সম্ভব।”
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, “পবিপ্রবি দক্ষিণাঞ্চলের এক আলোকবর্তিকা। শিক্ষকদের সততা ও নিষ্ঠাই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেবে।”
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. নূর নবী এবং সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুব রব্বানী।
দিনব্যাপী কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য, গবেষণায় নৈতিকতা, পেশাগত আচরণবিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক এবং জ্ঞান সৃজন নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক (অব.) ড. মো. নাজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন উর রশীদ ও অধ্যাপক ড. মাহবুব রব্বানী।
অংশগ্রহণকারী মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সগিরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, “শিক্ষকতার নৈতিক মানদণ্ড বিষয়ে দিকনির্দেশনা পাওয়া আমার জন্য অমূল্য অভিজ্ঞতা।”
প্লান্ট প্যাথলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ ইকবাল হোসেন বলেন, “সততা ও নৈতিক মূল্যবোধের বিকল্প নেই। এই কর্মশালা শিক্ষার্থীদের সামনে আদর্শভাবে দাঁড়ানোর উপলব্ধি দিয়েছে।”
প্রশিক্ষণের কোর্স ডিরেক্টর ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মাসুদ এবং কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন অধ্যাপক ড. নূর নবী।
উল্লেখ্য, কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল নবীন শিক্ষকদের মাঝে গবেষণা ও শিক্ষাদানে সততা ও নৈতিক মানদণ্ড জাগ্রত করা, যাতে তারা মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন।
একুশে সংবাদ/প.প্র/এ.জে