AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯ আশ্বিন ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গৌরীপুরে ৫৫টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি, সর্বত্র কড়া নিরাপত্তা


Ekushey Sangbad
মো. হুমায়ুন কবির, গৌরীপুর, ময়মনসিংহ
০৬:০৬ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গৌরীপুরে ৫৫টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি, সর্বত্র কড়া নিরাপত্তা

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে সাজসজ্জার রঙে রঙিন হয়ে উঠছে গ্রাম থেকে শহর। উপজেলার ৫৫টি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মণ্ডপে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করে এখন রঙ তুলি দিয়ে প্রাণ সঞ্চারের অপেক্ষায়।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট সভাপতি কমল সরকার জানান, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। গত বছরের তুলনায় এ বছর গৌরীপুরে ৬টি পূজা মণ্ডপ বেড়েছে। পৌর এলাকায় ১৭টি পূজাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৫৫টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মইলাকান্দা ইউনিয়নে ৮টি, শ্যামগঞ্জ বাজারে ৭টি, ২নং গৌরীপুরে ৫টি, অনন্তপুরে ৫টি, মাওহায় ২টি, সহনাটিতে ১টি, বোকাইনগরে ৩টি, রামগোপালপুরে ২টি, ডৌহাখলায় ১০টি, ভাংনামুরী ও সিধলায় একটি করে পূজা হবে।

পৌর এলাকার মাস্টারপাড়া, বাগানবাড়ী, কালিখলা, ষ্টেশন রোড, মধ্যবাজার, হরিজন পল্লী, বালুয়াঘাট ঋষিপাড়া, দুর্গাবাড়ি, কালীবাড়ি, পাছেরকান্দা, ঘোষপাড়া, কৃষ্ণপুর রাজবাড়ি ও কচিকাঁচা পূজা মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপগুলো সুদৃশ্য প্যান্ডেল, তোরণ এবং আলোকসজ্জায় সাজানো হচ্ছে।

৬০ বছর বয়সী মৃৎশিল্পী সুকেশ পাল জানান, পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে তিনি ৩৬ বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করছেন। সারা বছরই এ পেশায় যুক্ত থেকে জীবিকা নির্বাহ করেন।

কালীখলা বাজার কালীমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শংকর ঘোষ পিলু বলেন, প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজার প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আমিন পাপ্পা জানান, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিমা তৈরির সময় থেকে পূজা শেষ হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ভিজিল্যান্স টিম এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

সম্প্রতি পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুনন্দা সরকার প্রমার সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভায় পূজা মণ্ডপের প্রতিনিধি, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিদারুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ টহল ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পূজা চলাকালীন প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার টহলসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।”

আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হবে। মূল পূজা শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীর মাধ্যমে এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে।

 

একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে

Link copied!