মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মাদক বিরোধী প্রতিবাদ সভায় অগ্রণী ভূমিকা রাখায় বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির প্রচার সম্পাদক মাঈনুল মিয়া, পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যসহ কিছু সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন শহরের সোনার বাংলা রোডের ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মীরা, যারা অভিযুক্ত মাদক কারবারী স্বপন মিয়ার স্ত্রী শিল্পী আক্তারের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করার কথা বলেন।
গতকাল দুপুরে শ্রীমঙ্গলে ভানুগাছ রোডস্থ টি ভ্যালি পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শ্রীমঙ্গলের কালীঘাট রোডের বাসিন্দা আব্দুস সালামের পুত্র মোঃ ইমদাদুল হক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি জানান, ২৪ আগস্ট রাতে তার ভাতিজা সজিব মিয়া (১৬) বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নতুন বাজার দক্ষিণ রোড এলাকায় স্বপন মিয়া ও তার স্ত্রী শিল্পী আক্তারের হামলার শিকার হন। সজিব মিয়া গুরুতর আহত হন এবং হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ইমদাদুল হক দাবি করেন, ২৬ আগস্ট তিনি শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। একই দিনে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভার প্রশাসক এবং শ্রীমঙ্গল থানার কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়। কিন্তু অভিযোগটি তদন্তের নামে দীর্ঘ সময় স্থগিত রাখা হয়। ৩১ আগস্ট স্বপন মিয়া ও শিল্পী আক্তার ওই ঘটনায় উল্টো মামলা দায়ের করেন। এতে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০-৬০ অজ্ঞাতনামা আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মামলাটি মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত শিল্পী ও স্বপনের মামলার দুই নারী সাক্ষী দাবি করেন, তারা বানোয়াট মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না। তারা একটি এফিডেভিটে (নং-৫৭৪) উল্লেখ করেছেন যে, তাদেরকে যা বলা হয়েছে তা মিথ্যা।
ইমদাদুল হক আরও জানান, তার ভাতিজা সজিব মিয়াকে প্রাণঘাতীভাবে আহত করার ঘটনাকে আড়াল করতে এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তিনি মামলাটি বাতিল ও আসামি স্বপন ও শিল্পী আক্তারের গ্রেপ্তারের দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ১২২৩ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিছির আলি, মোঃ মনিরুল ইসলাম সাংগঠনিক, শ্রীমঙ্গল শমশেরনগর বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ তসলিম, শ্রীমঙ্গল বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অজয় দেব, সহ-সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন, সহ যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মামুন মিয়া প্রমুখ।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষের মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। কোর্টের কাগজ পেয়ে শিল্পী আক্তারের মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে মামলার সত্য-মিথ্যা নির্ধারণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/মৌ.প্র/এ.জে