দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে। এতে অন্তত নয়টি জেলার নিম্নাঞ্চল ডুবতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। পাশাপাশি রংপুর ও রাজশাহীর কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, আসাম ও সিকিমেও প্রবল বর্ষণ রেকর্ড করা হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময়ে ভারতের মেঘালয়, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, বিহার ও ত্রিপুরাতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি আরও বাড়তে পারে এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের নিম্নাঞ্চল সাময়িক বন্যায় তলিয়ে যেতে পারে।
রংপুর অঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীতেও পানির স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী দুই দিনে এসব নদীর পানি আরও বাড়বে বলে জানানো হয়। এর মধ্যে তিস্তা ও দুধকুমার বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং ধরলা নদীর পানি সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী নদীর পানি বেড়েছে। তবে মুহুরী, সেলোনিয়া, সাঙ্গু, ফেনী, হালদা ও মাতামুহুরী নদীর পানি কিছুটা কমেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী একদিন এসব নদীর পানি আবার বাড়তে পারে। এ সময় মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী ও হালদা নদীর পানি সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে এবং চট্টগ্রাম-ফেনীর নিম্নাঞ্চলে অস্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।
এ ছাড়া সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিপোয়াইন, যাদুকাটা, সোমেশ্বরী, ভুলাই ও কংস নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী দুই দিনে এসব নদীর পানি আরও বাড়তে পারে এবং সিলেট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও শেরপুর অঞ্চলে সতর্কসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।
একুশে সংবাদ/এ.জে