ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘটনায় বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ। এছাড়া আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন। তিনি জানান, রোববার ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম. ম সিদ্দিক মিয়াকে (৬০)। তাকে শনিবার ভোরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেফতার করে। মামলার দ্বিতীয় আসামি হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়া (৫০)।
পুলিশ জানায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে আসামিরা আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী এলাকায় সিসিবিএল তেল পাম্পের সামনে সমবেত হয়ে ঢাকা–খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এসময় ম. ম সিদ্দিক মিয়ার নেতৃত্বে তারা মহাসড়কে বড় গাছ ফেলে, টায়ারে আগুন ধরিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাদের সরে যেতে বললে তারা অমান্য করে আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধাওয়া দিলে অবরোধকারীরা পালিয়ে যায় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন বলেন, “মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। প্রধান আসামি ম. ম সিদ্দিক মিয়াকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।”
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল বলেন, “মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।”
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসন পুনর্বিন্যাসের গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসনের আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে গেজেট প্রকাশের পরদিন থেকেই ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ফ.প্র/এ.জে