কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার একটি সড়কের আধা কিলোমিটারের মধ্যে দুটি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আরসিসি গার্ডার ও পলেস্তারা খসে যাওয়ায় সেতু দুটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া একটি সেতুর অর্ধেক অংশও ক্ষতিগ্রস্ত। এ সত্ত্বেও হালকা যানবাহনসহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ সেতুগুলো ব্যবহার করছে।
স্থানীয়রা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি দ্রুত সংস্কার না হলে যে কোনো মুহূর্তে প্রাণহানি ও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেতু দুটি উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজারগামী সড়কে অবস্থিত।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল সূত্রে জানা গেছে, শিলখুড়ি ইউনিয়নের ১৫ মিটার ও ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু দুটি কয়েক বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বরাদ্দ না থাকার কারণে সেতু দুটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিক বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি দিয়ে হালকা যান চলাচল করলেই কাঁপতে থাকে। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দ্রুত সংস্কার জরুরি, নইলে ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপন্ন হবে।”
পল্লী চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম জানান, “প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষসহ স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে। গর্ভবতী ও অসুস্থরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াতের জন্য সেতুটি ব্যবহার করে। সেতু দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার না হলে ইউনিয়ন আরও পিছিয়ে যাবে।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক বলেন, “৩০–৩৫ বছর আগে সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে পলেস্তারা খসে যাওয়ায় সেতু দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এর ফলে পুরো ইউনিয়নের মানুষ আতঙ্কিত। ভারী যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুধকুমার নদের ভাঙন রোধের ৬টি প্রকল্পের কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।”
ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।”
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে
 
    
 
                        

 
                                         
                                             
                                                        
                             একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
                                             
                                             
                                             
                                            
