রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলকে ঠেকাতে পাকিস্তানপন্থী প্রশাসনের ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত পাঁচ দফা দাবির বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।
রাহী বলেন, “আজ যারা দুর্নীতি করে অর্থকুবের হয়েছে, তারাই পাকিস্তানি প্রেতাত্মার মতো রাকসুকে ভঙ্গ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ছাত্রদলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে। রুয়া নির্বাচনে সাবেক শিক্ষার্থীদের অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছিল। সেই বিতর্কিত নির্বাচনের কমিশনারকেই কোনো আলোচনা ছাড়াই রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনো শিক্ষককে অপমান বা লাঞ্ছিত করতে চাই না। তবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক রাকসু নির্বাচন চাই। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা, যারা জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত না করে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।”
সমাবেশে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু বলেন, “২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার দিতে হবে। ভোটকেন্দ্র আবাসিক হল নয়, বরং একাডেমিক ভবনে স্থাপন করতে হবে। ছবিসহ স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”
ছাত্রদলের পাঁচ দফা দাবি হলো-
১. প্রথম বর্ষ ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা।
২. ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে স্থাপন করা।
৩. হালনাগাদ ছবি সহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা।
৪. আবাসিক হলে সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
৫. বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা।
সমাবেশ শেষে ছাত্রদল একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন ভবন-১ এর সামনে গিয়ে শেষ করে। পরে তারা উপাচার্যের কাছে দাবিনামা সম্বলিত স্মারকপত্র জমা দেয়।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “আমরা তাদের দাবিগুলো পেয়েছি। নির্বাচন সম্পর্কিত বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশন দেখবে।”
সমাবেশে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, দপ্তর সম্পাদক নাফিউল জীবনসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে