বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের যথাযথ মূল্যায়নের দাবি তুলেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে কুড়িগ্রাম জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠিত হলেও এখনো ১২টি সাংগঠনিক ইউনিটের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। অন্যদিকে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে জেলা কমিটিকে বারবার কর্মী সম্মেলনের অনুরোধ জানানো হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। সর্বশেষ গত ১৮ আগস্ট জেলা কমিটির নেতারা জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় পূর্বে অসমাপ্ত থাকা আটটি ইউনিয়ন কমিটি বর্তমান আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।
এ নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের পরিবর্তে নতুন নেতৃত্বে পছন্দের লোকদের জায়গা করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তারা দাবি করেন, আগে ত্যাগীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।
তৃণমূল নেতাদের আলোচনায় উঠে এসেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন আশরাফের নাম। ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তুহিন আশরাফ দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে সক্রিয় রয়েছেন। ২০০৫ সালে বেলগাছা ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক, ২০০৯ সালে সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ২০২২ সাল থেকে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দলের দুঃসময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি ভূমিকা রেখেছেন এবং তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান।
তারা মনে করেন, তুহিন আশরাফের মতো ক্লিন ইমেজের ত্যাগী নেতাদের নেতৃত্বে আনলে সংগঠন আরও সুসংগঠিত হবে।
এ বিষয়ে তুহিন আশরাফ বলেন, “আমি আমার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথ নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় আছি। ২০১৩ সালে ছাত্রদলের কার্যক্রম শেষ করে আমি স্বেচ্ছাসেবক দলে যুক্ত হই এবং বর্তমানে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ২০২২ থেকে এখন পর্যন্ত সংগঠনকে কতটা গতিশীল করতে পেরেছি—এটা কেবল সদর উপজেলা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরাই ভালোভাবে বলতে পারবেন।”
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
