রোহিঙ্গা মানবিক সংকট সমাধানের আট বছর পেরোলেও কার্যকর অগ্রগতি আসেনি। এখনো প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছে। তাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন ও শরণার্থী ক্যাম্পকেন্দ্রিক মানবিক সংকট মোকাবিলায় টেকসই সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক অংশীদাররা নতুন উদ্যোগে মাঠে নেমেছে।
সে লক্ষ্যেই রোববার (২৪ আগস্ট) থেকে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এতে প্রায় ৪০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
উখিয়ার ইনানীর হোটেল বে-ওয়াচে বিকেল ৪টায় উদ্বোধনী অধিবেশনের মাধ্যমে এই সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। “টেকঅ্যাওয়ে টু দ্যা হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্যা রোহিঙ্গা সিচুয়েশন” শিরোনামে আয়োজিত এই আলোচনায় উপস্থিত আছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও সরকারের রোহিঙ্গা ইস্যুবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নীতি নির্ধারকরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে মোট পাঁচটি অধিবেশন থাকবে। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে মূল অধিবেশনে যোগ দিতে সংক্ষিপ্ত সফরে কক্সবাজার আসবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এই আয়োজনকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতিমূলক ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই সম্মেলনে বিদেশি কূটনীতিক, গবেষক, বিশেষজ্ঞ ও রোহিঙ্গা প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। আলোচনায় থাকবে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পথ, তহবিল সংগ্রহ, রাখাইনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং সংকট নিরসনের টেকসই প্রস্তাবনা।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “রোহিঙ্গাদের সংকট আন্তর্জাতিক মহলে জোরালোভাবে তুলে ধরা জরুরি। এখানে তারা নিজেরাই সরাসরি তাদের বক্তব্য জানাতে পারবেন।”
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে