ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে লামিয়া আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরী গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার কোষামন্ডলপাড়ায় স্বামীর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামী বাদল ইসলাম দাবি করেন, লামিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী বাদল ইসলামকে আটক করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, কোষামন্ডলপাড়া গ্রামের বাদশা আলমের ছেলে বাদল ইসলাম ও থুমনিয়া শাহাপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের কিশোরী মেয়ে লামিয়া প্রায় আট মাস আগে প্রেম করে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে। ছেলেপক্ষ এ বিয়ে মেনে নিলেও মেয়েপক্ষ রাজি হয়নি। এরপর থেকে বাদল ও লামিয়া কোষামন্ডলপাড়ায় সংসার করছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে স্বামী-স্ত্রী ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ভোর রাতে বাদল প্রচার চালান যে, লামিয়া ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা এসে লামিয়াকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং স্বামী বাদলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের বাবা রবিউল ইসলাম ও চাচা ফজলুল হক অভিযোগ করে বলেন, লামিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আত্মহত্যা নয়, তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, “এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।”
একুশে সংবাদ/ঠা.প্র/এ.জে