সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের চান্দালীপাড়া গ্রামের এক তালাকপ্রাপ্ত নারীকে অপহরণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৭ আগস্ট (রোববার) ভুক্তভোগী নারী সুনামগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন—একই গ্রামের মুনসুর আলী (৩২), বাদিনীর প্রাক্তন স্বামীর ছোট ভাই শামসুল হক (২৫), ইব্রাহিম মিয়া (৩০), নাজিম উদ্দীন (৪৮) ও মাজেদা বেগম (৩০)।
অভিযোগে বলা হয়, মৃত কাশেম আলীর মেয়ে তালাকপ্রাপ্ত মালা আক্তার (২৭) দীর্ঘদিন ধরে মুনসুর আলীর কু-প্রস্তাবের শিকার ছিলেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মুনসুর আলী প্রায়ই তাকে অপহরণের হুমকি দিতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ জুলাই (বুধবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মালা আক্তার অপহৃত হন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নাজিম উদ্দীনের স্ত্রী মাজেদা বেগম বোরকা পরে মালা আক্তারের বাড়ির পাশে এসে তাকে নাম ধরে ডাকেন। ডাকে সাড়া দিয়ে কাছে গেলে মাজেদা বেগম তার কানের দুলের প্রশংসা করতে গিয়ে হঠাৎ কানে হাত দেন। সঙ্গে সঙ্গে মালা আক্তার অচেতন হয়ে পড়েন। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে ৪–৫ জন মিলে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্জন স্থানে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান হাতে আঘাত করা হয়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাতের আঁধারে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আসামিরা। এক অটোরিকশাচালক সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ভুক্তভোগী কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর গত ৩০ জুলাই মধ্যনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে তিনি ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন।
মধ্যনগর থানার ওসি মনিবুর রহমান জানান, মামলার অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে।
একুশে সংবাদ/সু.প্র/এ.জে