AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

যোগ্য পদমর্যাদা না পাওয়ায় পবিপ্রবি‍‍`র ছাত্র বিষয়ক উপ-উপদেষ্টার পদত্যাগ


Ekushey Sangbad
দুমকি প্রতিনিধি,পটুয়াখালী
০৫:০৫ পিএম, ৭ আগস্ট, ২০২৫

যোগ্য পদমর্যাদা না পাওয়ায় পবিপ্রবি‍‍`র ছাত্র বিষয়ক উপ-উপদেষ্টার পদত্যাগ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) প্রশাসনে জামায়াতপন্থী দখলদারিত্ব ও পদোন্নতিতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে ছাত্র বিষয়ক উপ-উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ইউট্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ড. এ.বি.এম. সাইফুল ইসলাম। 

গতকাল (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দেওয়া পদত্যাগপত্রে তিনি এ সিদ্ধান্তের পেছনে অসন্তোষ, বঞ্চনা ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন।

পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালের ১ মার্চ প্রভাষক হিসেবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। কিন্তু ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকরিচ্যুত হন। পরে, ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ‍‍`ফ্যাসিবাদী সরকারের‍‍` পতনের পর তিনি পুনরায় চাকরিতে ফিরে আসেন। দীর্ঘ এক দশক পর, ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট সহকারী অধ্যাপক পদে পুনর্বহাল হলেও, একই সময়ের সহকর্মীরা ইতোমধ্যে দ্বিতীয় গ্রেডের অধ্যাপকসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ তাকে কোনো পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, একই সিন্ডিকেট সভায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক—যিনি রাজনৈতিক কারণে চাকরি হারিয়েছিলেন—চাকরিতে ফেরার পরপরই দুই ধাপে পদোন্নতি পেয়ে অধ্যাপক হয়েছেন। অথচ সাইফুল ইসলামের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার মৃত্যুর পর উপ-উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তার জুনিয়র এক শিক্ষককে ‍‍`ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা‍‍` বিভাগের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তাকে চরম অসম্মানিত ও বিব্রত করেছে।

পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, “এমতাবস্থায় ছাত্র বিষয়ক উপ-উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক ও বিব্রতকর হওয়ায় আমি উক্ত পদ থেকে পদত্যাগ করছি।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন এবং অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার উপ-উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাকেই নিয়ম অনুযায়ী পরিচালক করা হয়েছে। অন্যদিকে, ড. সাইফুল ইসলাম পূর্বে এসব প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলেন না। তাই তাকেই উপ-উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তা সেভাবে নয়।”

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

Link copied!