মৌলভীবাজারের জুড়ীতে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া মানিব্যাগ তুলতে গিয়ে সোহেল আহমদ (২৭) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে খুঁজতে গিয়ে ছোট ভাই ইমন আহমদ (২৫) ট্যাংকে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ডোমাবাড়ি গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল ডোমাবাড়ি এলাকার মজম্মিল আলীর ছেলে এবং পেশায় দিনমজুর ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে টয়লেটে যান সোহেল। এসময় তাঁর কোমরে লুঙ্গির সাথে গুঁজে রাখা মানিব্যাগটি কমোডের ফাঁক দিয়ে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। মানিব্যাগ তুলতে তিনি নিজেই ট্যাংকে নামেন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে না আসায় ছোট ভাই ইমন আহমদ তাঁকে খুঁজতে ট্যাংকে নামেন। এরপর থেকে দুই ভাইয়ের আর কোনো সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রা বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসে জানান।
রাত ৯টার দিকে জুড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মই ব্যবহার করে ট্যাংকে নেমে দুই ভাইকে উপরে তুলে আনেন।
জুড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ শামীম আহমদ বলেন, “দুই ভাই সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. অসিত রঞ্জন দেবনাথ জানান, “হাসপাতালে আনার আগেই সোহেল আহমদের মৃত্যু হয়। তবে ইমন আহমদ আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
সোহেলের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিশ্রমী ও দায়িত্ববান এই যুবকের এমন করুণ মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না।
একুশে সংবাদ/মৌ.প্র/এ.জে