১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দোগাছি মৌজায় অবস্থিত আলোচিত সাবেক মেজর মরহুম সাখাওয়াত আলীর ফার্মে (মেজরের ফার্ম) বিরোধপূর্ণ জমিতে চাষাবাদ করায় আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা।
চলতি মাসের ৯ জুলাই এ আদেশ জারি করেন জেলা প্রশাসক এবং একইসঙ্গে আদেশ ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেইসঙ্গে ব্যাপক প্রচারণার জন্য জেলা তথ্য অফিসকে নির্দেশনা দেন তিনি। তবে জেলা তথ্য অফিস প্রচার-প্রচারণা চালালেও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত ফার্মের বিরোধপূর্ণ ৪৭টি দাগে ৩২.৪৮ শতক জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা তা অমান্য করে জমিতে চাষাবাদ শুরু করলে বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদেশটি পুনর্বহাল করেন এবং আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ফার্মের কেয়ারটেকার আতিকুর রহমান অভিযোগ করেন যে, বিরোধপূর্ণ জমিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিবাদীপক্ষ চাষাবাদ শুরু করেছে— যা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ অনুযায়ী জারিকৃত ১৪৪ ধারার পরিপন্থী। এমতাবস্থায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জারিকৃত আদেশ বহাল রাখার পাশাপাশি আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেজরের ফার্মের ম্যানেজার ও অভিযোগকারী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা ৪৭টি দাগে ৩২.৪৮ শতক জমির বৈধ মালিক হয়েও বিবাদীরা একটি কুচক্রী মহলের ফাঁদে পড়ে আমাদের বিরুদ্ধে একে একে ৩১টি মামলা এবং ২০ থেকে ২৫টি অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা সব মামলাতেই আমাদের পক্ষে রায় পেয়েছি, তবু তারা নিত্য নতুন মামলা দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।”
তিনি আরও বলেন, “ডিসি স্যার নতুন করে আদেশ জারি করলেও জেলা তথ্য অফিস ছাড়া উপজেলা প্রশাসন কিংবা থানা পুলিশের কোনো কার্যকর ভূমিকা আমরা দেখতে পাইনি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা এই অরাজকতা থেকে মুক্তি চাই।”
একুশে সংবাদ/ঠা.প্র/এ.জে