পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় বোরো ধান কাটার মৌসুম শেষ না হতেই চালের দাম কেজিতে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ।
বাজারে সরু চালের পাশাপাশি মোটা ও মাঝারি মানের চালের দামও বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের কেজিপ্রতি দাম ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে উপজেলার শরৎনগর ও ভাঙ্গুড়া বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ সাধারণত মোটা ও মাঝারি চালই বেশি ক্রয় করেন। দামের এই অস্বস্তির মাঝেও নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
চাল ব্যবসায়ীদের দাবি, ধানের দাম বাড়ার পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় চাল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এসব কারণেই চালের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া বাজারে চাল কিনতে আসা ভ্যানচালক রাকিবুল ইসলাম বলেন, “গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি দামে চাল কিনেছি। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মতো দরিদ্রদের পক্ষে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়বে।”
উপজেলার খুচরা চাল ব্যবসায়ী জাফর আলী বলেন, “কিছুদিন ধরেই সব ধরনের চালের দাম বাড়ছে। মিল পর্যায়েও চালের দাম বেশি, ফলে আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। এতে অনেক সময় ক্রেতাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “হঠাৎ করে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় মিল মালিকরাও চাল বেশি দামে বিক্রি করছে।”
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পাবনার সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি বলেন, “আমরা নিয়মিত বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। কেউ যাতে অবৈধভাবে চাল মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।”
একুশে সংবাদ/পা.প্র/এ.জে