কুষ্টিয়ার মিরপুরে উপজেলা প্রশাসন ও কামিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য ও বাল্য বিবাহ নিরোধ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কামিরহাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হলরুমে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি মারফত আফ্রিদী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মেশকাতুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পিযূষ কুমার সাহা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তমান্নাজ খন্দকার, মিরপুর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম সহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
বক্তারা জানান, প্রজনন স্বাস্থ্য মানে কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা এবং সুস্থ যৌন জীবন ও প্রজনন ক্ষমতা রক্ষা করা।
তারা বাল্য বিবাহের খারাপ প্রভাবের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশে ৬৪% নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছর পূরণের আগেই, যা বাল্য বিবাহ। বাল্য বিবাহের কারণে নারী শিক্ষা ব্যাহত হয়, মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের ঝুঁকি বাড়ে, গর্ভপাতের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় এবং পারিবারিক অশান্তি তৈরি হয়। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর।
সভায় বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা ও ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা পুনরায় উল্লেখ করা হয়।
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে