প্রবাসী বাবাকে ইয়ারপোর্ট থেকে আনতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন মেয়ে ফিরোজা বেগম (২৫) ও তার শ্বশুর মাসুদ ফকির (৬০)। এ ঘটনায় ফিরোজার শিশু সন্তানসহ আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮ জন।
জানা গেছে, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ছারু ফকির দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ইরাক থেকে দেশে ফিরছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার পৌঁছানোর কথা ছিল।
বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ছারু ফকিরকে স্বাগত জানাতে তার পরিবারের ১০ সদস্য একটি মাইক্রোবাসে করে রওনা হন। পথে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাস ও পিছন থেকে ধেয়ে আসা একটি কাবার ভ্যানের সঙ্গে তাদের গাড়িটির ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ছারুর মেয়ে ফিরোজা বেগম ও তার শ্বশুর মাসুদ ফকির। আহত হন ফিরোজার শিশু সন্তানসহ অন্তত ৮ জন। তাদের মধ্যে ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকি আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হোসেন বলেন, "ছারু ফকির দেশে ফিরলেও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তার স্বজনেরা বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারেননি। দুর্ঘটনার খবর শুনে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।"
আহত চালক সবুজ শেখ বলেন, "নাওডোবা এলাকায় পৌঁছানোর পর সামনে থেকে বাস ও পেছন থেকে কাবার ভ্যান ধাক্কা দেয়। তিনটি গাড়ির সংঘর্ষে আমরা দুমড়ে-মুচড়ে যাই।"
জাজিরা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান,"ভোরে জাজিরার নাওডোবা এলাকায় ফরিদপুরের একটি হাইএক্স গাড়ির সঙ্গে যাত্রীবাহী বাস ও কাবার ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।"
একুশে সংবাদ//র.ন