রামগঞ্জে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাশারের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সোমবার দিবাগত গভীর রাতে পাশ্ববর্তী চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার দোয়াভাঙ্গা একটি এলাকা থেকে তারেক রহমান ওরফে ছোট মনুকে (৪৫)গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার সকালে ধর্ষক ছোট মনুকে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকে রামগঞ্জ থানার সামনে ধর্ষকের শাস্তির দাবীতে শ্লোগান দিয়ে অবস্থান করে শত শত বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও জনতা। বেলা ১২টায় পুলিশের দুইটি গাড়ী ও পুুলিশ পাহারায় গ্রেফতারকৃতকে আদালতে নেয়ার পথে রামগঞ্জ থানা সড়কের মূল গেইটের সামনে অবস্থানরত ছাত্র জনতা পুলিশের গাড়ী গতিরোধ করে ডিম নিক্ষেপসহ আসামীকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে তা ভেস্তে যায়।
ধর্ষক ছোট তারেক রহমান ওরফে ছোট মনু রামগঞ্জ উপজেলার ২নং নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও পাঠান বাড়ীর মৃত আব্দুস সাত্তারের ছোট ছেলে।
স্থানীয় লোকজন ও এলাকাবাসী জানান গত শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রামের মনির হোসেনের কন্যা শিশুকে ছোট মনু মিয়া নামের এক পাষন্ড একটি নির্জন স্থানে মুখ চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় শিশুটিকে তার পরিবারের সদস্যরা রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নোয়াখালী সদর হসপিটালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। বর্তমানে শিশুটি নোয়াখালী সদর হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ধর্ষকের গ্রেফতার দাবীতে স্থানীয় বাজারে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জামায়াত, বিএনপি, ছাত্র ও যুবদল, এনসিপিসহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও সোমবার রামগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান শনিবার রাতে রামগঞ্জ থানায় তারেক রহমান ওরফে ছোট মনু নামের একজনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার একমাত্র আসামী ছোট মনু নামের একজনকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নোয়াখালী সদর হসপিটালে ভিকটিম পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে, মামলাটি তদন্তাধীন।
একুশে সংবাদ/ল.প্র/এ.জে