খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার (২১ জুলাই) সকালে মাটিরাঙা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী আবির হোসেন রিফাত (৯) মাটিরাঙা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের নবীনগর এলাকার বাসিন্দা এবং শ্রমিক স্বপন মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ক্লাস চলাকালীন সময়ে বাংলা হাতের লেখা জমা নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা দৌড়াদৌড়ি করলে সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেনের মোবাইল ফোনটি টেবিল থেকে পড়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক ফারুক হোসেন প্রথমে রিফাতকে কান ধরে উঠবস করান, এরপর ঘাড়ে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করেন। এতে রিফাত অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত মাটিরাঙা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত শিক্ষার্থীর মা রেহেনা আক্তার বলেন, "সকালে সুস্থ ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়েছিলাম। দুপুরে ছোট ছেলে এসে জানায়, স্যার মারধর করে রিফাতকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। দ্রুত গিয়ে দেখি ছেলের অবস্থা খারাপ, ঘাড়ে সে মার খেয়েছে। ওর ঘাড়ে আগে থেকেই টিউমার ছিল। আমি এর বিচার চাই।"
অভিযুক্ত শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, "মোবাইল ফোন জানালার ফাঁকে রাখা ছিল। বাচ্চারা হুড়োহুড়িতে ফেলে দিলে রাগ করে দুই–একটা থাপ্পড় দিয়েছি। এরপর ও অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যাই।"
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, "সকালে দাপ্তরিক কাজে জেলা সদরে ছিলাম। ঘটনাটি সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।"
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মাটিরাঙা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন দত্ত বলেন, "শিশুটির ঘাড়ে প্রচণ্ড আঘাতের চিহ্ন আছে। এক্স–রে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।"
মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর আলম বলেন, "বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
একুশে সংবাদ/খ.প্র/এ.জে