গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর জারি করা কারফিউ শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে।
তবে কারফিউ শিথিল হলেও জনমনে আতঙ্ক কাটেনি। জরুরি প্রয়োজনেও অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার সকাল থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লঞ্চঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন থাকলেও যাত্রী নেই বললেই চলে। দোকানপাটও বেশিরভাগই বন্ধ। শহরের চৌরঙ্গী, বটতলা, কালিবাড়ী, বিসিক ও থানাপাড়া এলাকাতেও একই দৃশ্য। জরুরি প্রয়োজনে বা শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যে কেউ কেউ বাইরে বের হলেও তাদের সংখ্যা খুবই কম।
লঞ্চঘাট এলাকায় কথা হয় লিমন নামে এক যুবকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জরুরি কাজে বের হয়েছি। কিন্তু বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ। কাজ আদৌ হবে কি না জানি না। লোকজন ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। কখন গ্রেপ্তার হতে হয় বলা যায় না।’
বিসিক এলাকায় বাজার করতে আসা সুরুজ নামে এক বৃদ্ধ জানান, ‘কারফিউ নেই শুনে বাজারে এসেছি। কিন্তু বাজারেও লোকজন কম। মানুষের মধ্যে এখনো আতঙ্ক আছে।’
এক ইজিবাইক চালক মাহমুদ মিয়া বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে গাড়ি চালাচ্ছি, কিন্তু কোনো আয় নেই। ভেবেছিলাম আজ কারফিউ নেই বলে কিছু আয় হবে। কিন্তু মানুষ বের হচ্ছে না, যাত্রীও নেই।’
লঞ্চঘাট এলাকায় দায়িত্বে থাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. রুহুল আমিন সরকার বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। মানুষ বের হচ্ছে, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় টহল ও অভিযান চলছে। নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে দিকেও আমরা সতর্ক।’
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে