AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান তালুকদার আর নেই


Ekushey Sangbad
মো. দিল, সিরাজগঞ্জ
০২:২৬ পিএম, ১৮ জুলাই, ২০২৫

সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান তালুকদার আর নেই

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গার একাংশ) আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান তালুকদার বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে ঢাকায় নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি তিন ছেলে, তিন মেয়ে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন ছেলে রাহিদ মান্নান লেলিন এবং জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ। তারা জানান, মরহুমের জানাজার সময় ও স্থান পরে জানানো হবে।

সাবেক এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান বাচ্চু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এদিকে, জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যুর খবরে নির্বাচনী এলাকায় এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর, স. ম. আফসার আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুর রহমান টুটুলসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, আব্দুল মান্নান তালুকদার ১৯৩৬ সালের ২ মার্চ রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের ধুবিল গ্রামে সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে ম্যাট্রিক পাস করে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে ভর্তি হন। ওই সময় তিনি ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে কলেজ ছাত্র সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত হন।

শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি ‘সোনালী আঁশ’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যা ১৯৬৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়। তিনি একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার এবং সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। এরপর ১৯৯১ (৫ম), ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ (৬ষ্ঠ), জুন ১৯৯৬ (৭ম) এবং ২০০১ (৮ম) সালে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও পরাজিত হন।

তার আমলে রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গা এলাকায় সড়ক, সেতু, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় ও সামাজিক অবকাঠামোসহ বহু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, যা আজও জনগণের মুখে প্রশংসিত হচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/সি.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!