চাঁপাইনবাবগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন—জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লড়াকু সৈনিক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাবির আহম্মদ, মাহাদি, রাহাত, পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, নবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার মজুমদার, সিভিল সার্জন ডা. একেএম শাহাব উদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসহাক আলী, নবাবগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. ইমরান আলী এবং সাংবাদিক ডাবলু কুমার ঘোষ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ বলেন,"সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ইস্যুতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্রদের আন্দোলন শুরু হয়। পরবর্তীতে এই আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবু সাঈদ শহীদ হন। তার মৃত্যুর পর আন্দোলন আরও বেগবান হয়।"
তিনি আরও জানান,“ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে পড়ে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। এই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখতে সরকার ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে, যার অংশ হিসেবে ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালন করা হচ্ছে।”
এ উপলক্ষে জেলার সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রক্তাক্ত জুলাইয়ের স্মৃতি স্মরণে গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন সময়ের ভিডিওচিত্র বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হয়।
একুশে সংবাদ/চাঁ.প্র/এ.জে