চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে বালু ও মাটি উত্তোলন নিয়ে আধিপত্য বিস্তার, হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেছেন পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ইসলামপুর ইউনিয়নের তেররশিয়া ও লক্ষীনারায়ণপুর এলাকায় পদ্মা ও মহানন্দা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন এবং তা কেন্দ্র করে সাংবাদিক ও যুবদলের সাবেক নেতা ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিয়া মেম্বারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
পুলিশ সুপার জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকায় কয়েক দফা ককটেল বিস্ফোরণ, প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় এখন পর্যন্ত চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং গোয়েন্দা তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার উৎস ও অভিযুক্তদের চিহ্নিত করছে।
তিনি আরও জানান, সাংবাদিক ফারুক আহম্মেদ নিজের অপরাধমূলক কার্যক্রম আড়াল করতে সাংবাদিকতার আড়ালে রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সহকর্মী এলাকায় ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ পরিবেশন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছেন বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।
পুলিশ সুপার বলেন, “বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দলের নেতা-কর্মী রয়েছে। তবে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণ কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ নয়। এগুলো ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগত আধিপত্য বিস্তারের অংশ।”
তিনি জানান, দায়ের হওয়া মামলাগুলোর তদন্ত চলছে এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একুশে সংবাদ/চাঁ.প্র/এ.জে