চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার আহলা (ধলঘাট) গ্রামে হারগাজী খালের ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রামীণ সড়ক। খালের তীব্র স্রোতে ইতোমধ্যে সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ সরু হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এই সড়ক দিয়ে বোয়ালখালীর করলডেঙ্গা, কেলিশহর ও ধলঘাট ইউনিয়নের অন্তত আটটি গ্রামের মানুষ চলাচল করতেন। কিন্তু গত ৫-৬ বছর ধরে ভাঙনের কারণে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে শত শত শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ এবং অসুস্থ রোগী প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আহলা মুকুন্দ রামের হাট, বসাক পাড়া, প্রভা স্টোর, জয়কালী বাড়ি, সিদ্ধেশ্বরী মিষ্টির দোকান, লোকনাথ মন্দির সড়ক, বুড়াকালী বাড়ি ও ঝুলনবাড়ি এলাকায় সড়কটি ভেঙে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কোথাও কোথাও ১০ ফুট প্রশস্ত সড়ক এখন ২ ফুটে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ইট ও খোয়া উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষায় স্কুলগামী শিশুদের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। অনেক অভিভাবক সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন। খালের ধার ভেঙে প্রায় ৬০০ ফুট রাস্তা, বসতঘর ও বিদ্যালয়ের মাঠ বিলীন হওয়ার পথে।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে নয়াহাট থেকে ধলঘাট বিদ্যালয় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কে ব্যক্তি উদ্যোগে ইট বিছানো হয়। পরে ২০১২-১৩ সালে স্থানীয় এক সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে তা আংশিক সংস্কার করা হয়। একই সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড সড়ক রক্ষায় প্রতিরক্ষা বাঁধের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পাঠায়, এবং সড়কের এক কিলোমিটার অংশ কার্পেটিংয়ের জন্যও প্রকল্প দাখিল করা হয়। কিন্তু কোনো কাজই বাস্তবায়ন হয়নি।
অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় বুধবার (৯ জুলাই) সকালে বোয়ালখালীর হারগাজী খালের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন আহলা-করলডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল হক মন্নান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল হক মন্নান বলেন, “হারগাজী খালের ভাঙন এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের কারণে ভাঙন বাড়ছে। এলাকাবাসী এর থেকে পরিত্রাণ চায়। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট।”
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

