ঢাকার ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া-চৌহাট এলাকার ইকবাল আমির সেতুর একটি অংশের রেলিং ভেঙে প্রায় এক যুগ ধরে ঝুলছে। প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও মানুষ এই সেতু ব্যবহার করলেও আজ পর্যন্ত সংস্কার করা হয়নি ভাঙা অংশটি। এতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, প্রায় দেড় যুগ আগে ব্যক্তি উদ্যোগে বংশী নদীর ওপর নির্মিত হয় প্রায় ৩০০ ফুট দীর্ঘ বালিয়া-চৌহাট সংযোগ সেতুটি। তবে নদীতে নৌকা বাইচের সময় রেলিংয়ের পাশে ভিড় করা মানুষের চাপে প্রায় ২৫-৩০ ফুট রেলিং ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবেই ঝুলছে ওই রেলিং।
সরেজমিন দেখা যায়, বালিয়া বাজারের দিক থেকে সেতুতে ওঠার পর মাত্র ১০ ফুট সামনে থেকেই শুরু হয়েছে ভাঙা অংশ। রেলিং না থাকায় যানবাহনের চালকদের অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়ে চলতে হচ্ছে। পথচারীরাও সেই অংশ পার হচ্ছেন ঝুঁকি নিয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ আলম বলেন, “নদীতে নৌকা বাইচের সময় রেলিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে অনেক মানুষ পড়ে গিয়েছিল। কেউ হাত-পা ভেঙেছিল। এখনো জায়গাটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ।”
এই সেতু ব্যবহারকারী রাজন আহমেদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, “সেতুটি ধামরাই ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ। অথচ বছরের পর বছর রেলিং ঝুলে আছে, কেউ মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি।”
অটোরিকশা চালক আবুল কালাম বলেন, “এই রেলিংটা বহু বছর ধরে এমন ঝুলে আছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। বড় দুর্ঘটনা যে কোনো সময় ঘটতে পারে। দ্রুত মেরামত করা দরকার।”
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামনুন হাসান অনীক বলেন, “সেতুটি পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”
একুশে সংবাদ/স.প্র/এ.জে