মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনে সংঘটিত এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ছয়টি যানবাহনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজে দুর্ঘটনার সময়কার রোমহর্ষক দৃশ্য ধরা পড়েছে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শরীয়তপুর থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস হঠাৎ করে ব্রেক ফেল করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি প্রাইভেটকারে ধাক্কা দেয়। এরপর একে একে একটি জিপ, আরও দুটি যাত্রীবাহী বাস এবং একটি অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

ধাক্কা খেয়ে ইলিশ পরিবহনের একটি বাস উঠে পড়ে অটোরিকশার ওপর, এতে রিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালক গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠান।
ঘটনার পরপরই ইমাদ পরিবহনের চালক ও হেলপার ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় এক অটোচালক বলেন, “প্রতিদিন এখানে প্রচুর মানুষ চলাচল করে। আজ ভাগ্য ভালো, বেশি ভিড় ছিল না। তা না হলে প্রাণহানির সংখ্যা অনেক বেড়ে যেত।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকা এবং সংলগ্ন রাস্তায় যানবাহনের অতিরিক্ত গতি ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বহুবার অভিযোগ জানানো হলেও এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি তাদের।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে