জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্বহীনতায় বৃক্ষরোপণের জন্য দেওয়া গাছের চারা না লাগিয়ে ফেলে দিয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে উপজেলা ভাটারা ইউনিয়নের ৭০নং বারইপটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায় এ ঘটনা।
পরে সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি পরির্দশন করে ঘটনার সত্যতা খুঁজেপান। জানা যায়, উপজেলা ভাটারা ইউনিয়নে বারইপটল গ্রামে স্থাপিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। গত রবিবার (২২ জুন) সারা দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচি অংশ হিসেবে উপজেলা বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রোপণের জন্য গাছের চারা বিতরণ করেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একই দিনে গাছের চারা পান ৭০নং বারইপটল প্রাথমিক বিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ।
এদিকে দিনের পর দিন অতিবাহিত হয়ে ১৬ দিন পর গাছের চারা রোপণ না করে অবহেলায় চারাগুলোকে নষ্ট করে টয়লেটের পিছনে ফেলে রাখেন। পরে এ বিষয়টি স্থানীয় লোকজন ও সহকারী শিক্ষিকাদের নজরে পড়ে। এ সময় সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের টিও এবং এটিও ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দুর্নীতিবাজ। তিনি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রশ্নবিদ্ধ। গাছের চারা পেয়েও তিনি রোপণ করেননি এটা সত্যিই দুঃখজনক। তার অবহেলায় এমন হয়েছে বলেও স্থানীয়রা জানান।
বিদ্যালয়ের সরকারি শিক্ষক লাবণী আক্তার, মিতু আক্তার, ইয়াসমিন নাহার বলেন, গাছের চারা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু চারাগুলো রোপণ না করেই প্রধান শিক্ষিকা হেলেনা খাতুন ক্লাসরুমে ফেলে রেখেছেন। পরে চারাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা সহকারী শিক্ষকরা চারাগুলো রোপণ করার বিষয়ে বলেছি। কিন্তু তিনি কোনো গুরুত্ব দেননি।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হেলেনা খাতুন বলেন, প্রতিষ্ঠানে জায়গা নিয়ে এই গ্রামের মানুষের সাথে বিরোধ চলছে, তার জন্য গাছের চারা রোপণ করা হয়নি। নতুন করে আবার গাছের চারা আনা হয়েছে। সেটা রোপণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাহিদা ইয়াসমিন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়েছি। কথা ছিল গাছের চারা লাগিয়ে ছবি তুলে তারা আমাদের ছবি দিবেন। কিন্তু তারা গাছের চারা রোপণ করেননি। আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/জা.প্র/এ.জে