মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম বাজারে চিকিৎসক সেজে প্রতারণার অভিযোগে কথিত ডাক্তার গোলাপকে গ্রেপ্তার করেছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। এর আগে “একুশে সংবাদ.কম”–এ সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসনের নজরে আসে বিষয়টি।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাটুরিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর আহমদ। সঙ্গে ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুলতানা রিফাত (ফেরদৌস) এবং সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মনিরুজ্জামান। অভিযানে পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসীও উপস্থিত ছিলেন।
আগের প্রকাশিত সংবাদ------ সার্টিফিকেট ছাড়াই ‘সর্বরোগের’ ডাক্তার, তথ্য জানতে চাওয়ায় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি
অভিযানে দেখা যায়, গোলাপ ও তার বাবা লুৎফর রহমান নিজেদের নামের আগে “ডাক্তার” উপাধি ব্যবহার করে আসছিলেন এবং প্রয়োজনীয় সনদপত্র ছাড়াই রোগ নির্ণয় ও প্রেসক্রিপশন দিচ্ছিলেন। পাশাপাশি, তাদের ফার্মেসি থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উদ্ধার করা হয় এবং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন তারা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে কথিত ডাক্তার লুৎফর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তার ছেলে গোলাপকে ১৪ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “ভুয়া চিকিৎসকদের কারণে অনেকেই ভুল চিকিৎসায় ভোগেন। প্রশাসনের এই অভিযান ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকুক।”
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে