সড়কে ধানের চারা রোপৎণ করে ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ করেছেন কোটচাঁদপুরের তালসার গ্রামবাসী। দীর্ঘদিন রাস্তাটির কাজ না হওয়ায় তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে ওই কর্মসুচি পালন করেন তারা। বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুরের তালসার বাজার থেকে ঘাঘা বালি খোলা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা। এরমধ্যে এক কিলোমিটার ছিল প্লাট সলিং আর আধা কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। যা গেল ২০ বছর আগে নির্মিত হয়। বর্তমানে এক কিলোমিটার প্লাট সলিং রাস্তার পুরো ইট ভেঙ্গেচুরে কাদাময় হয়ে গেছে। আর বাকি আধা কিলোমিটার রাস্তা আরও খারাপ হয়ে গেছে। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গ্রামবাসী।
বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসী সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে বলেছেন। তাতে কোনো লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ওই রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তালসার পূর্বপাড়ার বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন , তালসার পূর্ব পাড়ার পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ বাস করেন। তাদের নানা প্রয়োজনে প্রতিদিন বাড়ি থেকে বের হতে হয়। আর বাড়ি থেকে বের হওয়ার একটি মাত্র রাস্তা তালসার-ঘাঘা রাস্তা। তালসার বাজার থেকে যে সড়কটি ঝিনাইদহে চলে গেছে। এর থেকে কিছু দূর গিয়ে জালালপুর বাজারের দিকে আরেকটি শাখা রাস্তা বেরিয়ে গেছে। ওই রাস্তা তাদের গ্রামের পূর্ব পাশে।
এই তালসার বাজার থেকে তাদের পাড়ার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া রাস্তাটি পাড়ার পূর্ব পাশ হয়ে মাঠ পেরিয়ে জালালপুর পিচঢালাইয়ের রাস্তায় মিশেছে। মধ্যে তাদের পাড়ার এই দেড় কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা আবদুস সাত্তার জানান, রাস্তাটির কথা মনে হলে বাড়ি থেকে বের হতে ইচ্ছা করে না। বাজারে যেতে হলে ভাঙাচোরা রাস্তা পার হতে হয়, আর মাঠে যেতে হলে কাদা পেরোতে হয়, যা খুবই কষ্টকর। রাস্তাটি পাকা করার জন্য তারা একাধিকবার প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেছেন। কিন্তু রাস্তা পাকা হয়নি।
কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরুজ্জামান সবুজ বলেন, রাস্তাটি এলজিইডির। এ কারণে আমরা কোনো প্রকল্প নিতে পারি না।
তবে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের অনেকবার জানানো হয়েছে। আর প্রতি বছর চলার উপযোগী করতে আমাকে ঘুস দিতে হয়।
তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাস্তাটি আরও খারাপ হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের আবারও জানাব।
উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধান্ত কুমার কুন্ডু বলেন, ঘটনা জানা নাই। আপনারা রাস্তার নামটি জানান। এরপর আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি ওই রাস্তার আইডি হয়েছে কিনা। না হলে কি ভাবে করা যায়, সেটা তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমার জানা ছিল না। এখন জানলাম। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে