“এখন জামায়াতে ইসলামীর করুণা নিয়ে আবদুল হামিদ (সাবেক রাষ্ট্রপতি) বেঁচে থাকতে হচ্ছে। তার শ্যালক জিহাদ খান এখন (কিশোরগঞ্জ-৩) করিমগঞ্জ-তাড়াইল আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী। জামায়াতের করুণা, গোলাম আজমের ছেলে আযমীর দয়া আর জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের দোয়া নিয়ে আবদুল হামিদকে সরকারকে বাধ্য করে বিদেশ যেতে ও আসতে হয়।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামধারী হামিদ এখন জামায়াতের করুণায় বেঁচে আছে—এদের থুতু দেয়া উচিত। আমি এক সেকেন্ডও জামায়াতের করুণা নিয়ে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই না, না, না।”
শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌগাংগা কামিল মাদ্রাসা মাঠে, চৌগাংগা ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল জব্বারের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, “বছরের পর বছর দেশে আসতে পারিনি। আবদুল হামিদ আমাকে দেশে আসতে দেয়নি। আমার মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে দেয়নি, ঈদের দিনও দেশে আসতে পারিনি। আমাকে নির্বাসনে রেখেছে, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। আজ আমি কোথায়, আর আবদুল হামিদ কোথায়—একবার বিচার করুন আপনারা। আল্লাহ কার পক্ষে, তা আপনারাই দেখুন।”
চৌগাংগা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তোতা মিয়া-এর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন, ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মনির উদ্দিন, সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন মীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ রহমান এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
একুশে সংবাদ/কি.প্র/এ.জে
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
