প্রায় ১৮ বছর ধরে সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার কামরুল ইসলাম ওরফে কামাল হোসেন (৪৫)। পরিবার-পরিজনের স্বপ্ন পূরণে বছরের পর বছর প্রবাসে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন তিনি। চলতি বছরের মার্চ মাসে ছুটিতে দেশে এসে কিছুদিন স্বজনদের সঙ্গে কাটিয়ে এপ্রিলের শুরুতে পুনরায় সৌদি আরবে ফিরে যান। তবে ফিরে গিয়েই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা—সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
সৌদি আরবের রিয়াদের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামরুল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘ আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে প্রায় তিন মাস পর রোববার সকালে কফিনবন্দি মরদেহ দেশে পৌঁছায়। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে আসার খবরে আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা ভিড় করেন কামরুলের বাড়িতে। চারপাশে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কামরুল ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তার একটি ছোট, শান্তিপূর্ণ সংসার ছিল। তার আকস্মিক মৃত্যুতে পুরো পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
পরবর্তীতে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কামরুলের ভাই জানান, “তিনি ছিলেন আমাদের পরিবারের মূল ভরসা। হাসিখুশি, পরিশ্রমী এবং দায়িত্ববান ব্যক্তি হিসেবে সবাই তাকে সম্মান করত। তার মৃত্যুতে শুধু আমাদের পরিবার নয়, পুরো এলাকাই শোকাহত।”
একুশে সংবাদ/কি.প্র/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

