ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ১০নং সিধলা ইউনিয়নের বেলতলী এলাকায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ঘটে গেলো রক্তাক্ত সংঘর্ষ।শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর আনুমানিক ১২.৩০ ঘটিকার সময় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজন গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিবাদী হুমায়ূন মিয়া (২৬), তার পিতা কালা মিয়া (৫০), আত্মীয় আলাল উদ্দিন (৬৫), সাগর মিয়া (২৫), মৌসুমী আক্তার (২২) ও নুরুন্নাহার (৪৫) পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বাদী মো. উজ্জল মিয়ার বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিবাদীরা প্রথমে বাদীর ভাতিজা মিনহাজুল (১৪) ও তন্ময় হাসান (১২)-এর সাথে কথাকাটাকাটি শুরু করে এবং পরে তাদেরকে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করে। পরে আহতদের চিৎকার শুনে বাদীর পিতা শাহাবুদ্দিন (৬৫), ভাই জুয়েল মিয়া (৩৪) ও আত্মীয় আবুল কাশেম (৪৫) ঘটনাস্থলে এলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়।
জানা যায়, ৬নং বিবাদী নুরুন্নাহারের নির্দেশে ১নং বিবাদী হুমায়ূন মিয়া দা দিয়ে জুয়েল মিয়ার মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে তিনি বাম হাত দিয়ে রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতরভাবে কেটে যায়। ৩নং বিবাদী আলাল উদ্দিন জুয়েল মিয়ার স্পর্শকাতর স্থানে ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ৪নং বিবাদী সাগর মিয়া কুড়াল দিয়ে আবুল কাশেমের দুই হাঁটুতে কুপিয়ে রগ কেটে দেন। এছাড়া, ২নং বিবাদী কালা মিয়া শাহাবুদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে দেন, যাতে তার হাত গুরুতরভাবে জখম হয়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতরদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার পরপরই বাদী গৌরীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিবাদীরা সুযোগ পেলে বাদী ও তার পরিবারকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকিও দিয়েছে।
বাদী উজ্জল মিয়া জানিয়ছেন, ঘটনার পর রবিবার গৌরীপুরে অবস্থানরত আর্মি ক্যাম্পে উভয়পক্ষকে ডেকে নিয়ে ঘটনা বিস্তারিত শুনে আপস মীমাংসা হওয়ার জন্য কর্তব্যরত সেনাঅফিসার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে