AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আকাশে উড়ছে অঙ্কনের বানানো প্লেন, সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস জেলা প্রশাসকের



আকাশে উড়ছে অঙ্কনের বানানো প্লেন, সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস জেলা প্রশাসকের

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের স্কুল শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান অঙ্কনের তৈরি প্লেন আকাশে উড়ছে—আর এটি দেখে এলাকাজুড়ে বিস্ময় আর প্রশংসার জোয়ার। সহপাঠী, প্রতিবেশী থেকে শুরু করে এলাকাবাসী সকলেই অঙ্কনের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। সরকারি সহায়তা পেলে আরও বড় কিছু করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে এই কিশোর উদ্ভাবক। ইতোমধ্যে অঙ্কনের এই সাফল্যের খবরে সাড়া দিয়ে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল।

১৬ বছর বয়সী অঙ্কন কোটচাঁদপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শওকত আলীর বড় ছেলে। সম্প্রতি কোটচাঁদপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল গ্রুপ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে সে। ছোটবেলা থেকেই ইলেকট্রনিক্স ও যন্ত্রপাতি নিয়ে আগ্রহী অঙ্কন আগে দুইটি সফল ড্রোন তৈরি করেছে। এবার তার হাত ধরে তৈরি হলো প্লেন, যা সফলভাবে আকাশে উড়েছে।

অঙ্কনের ভাষায়,“ছোটবেলা থেকেই যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগত। ইউটিউবে ড্রোন দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সরঞ্জাম কিনে কাজ শুরু করি। ২০২৪ সালে দুইটি ড্রোন তৈরি করে সফল হই। এবার চ্যালেঞ্জ ছিল প্লেন তৈরি করা। এসএসসি পরীক্ষার পর প্রতিদিন ৪-৬ ঘণ্টা কাজ করে চার মাসে প্লেনটি তৈরি করি।”

তিনি আরও জানান, প্লেন তৈরির জন্য ড্রোনের পুরোনো কিছু যন্ত্রাংশ পুনরায় ব্যবহার করেছেন, যেমন: ফ্লাই স্কাই কন্ট্রোলার (FS-16), সার্ভো মোটর, ককসিট বডি, ১৪ কেভি ব্রাশলেস মোটর, ৮ ইঞ্চি প্রপেলার, রিসিভার আই-৬, ২২ এমপি লিথিয়াম ব্যাটারি, হার্ডবোর্ড, এসএস পাইপ, পিভিসি ট্যাব ও পুরোনো জুতার চাকার হুইল। ব্যয় কম রাখতে পুরোনো যন্ত্রাংশই বেশি ব্যবহার করেছেন।

অঙ্কন জানায়,“ড্রোন তৈরিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৪ হাজার টাকা। প্লেন তৈরিতে কিছু যন্ত্রাংশ আগেরটাই ব্যবহার করেছি। চেষ্টা করছিলাম অনেকদিন ধরে, অনেকবার ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছি চ্যাটজিপিটির সাহায্যে।”

অঙ্কনের বাবা শওকত আলী বলেন,“সে ছোটবেলা থেকেই এসব যন্ত্রপাতি নিয়ে পড়ে থাকত। প্রথমে বিরক্তও হয়েছি, তবে এখন বুঝি—সে একটা কিছু করার চেষ্টা করছে। আমি সব সময় তাকে যতটুকু পেরেছি সহায়তা করেছি। এখন চাই, সরকার তাকে সহযোগিতা করুক যাতে সে দেশের জন্য কিছু করতে পারে।”

একজন প্রত্যক্ষদর্শী ট্র্যাক্টর চালক কলম হোসেন বলেন,“চাষের সময় হঠাৎ আকাশে দেখি প্লেনের মতো কিছু উড়ছে। ভিড় দেখে গিয়ে দেখি, আসলেই প্লেন। পরে শুনি, বলরামপুর গ্রামের শওকত ডাক্তারের ছেলে এটি তৈরি করেছে। শুনে খুব গর্ব লাগছে।”

জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন,“বিষয়টি জেনে খুব ভালো লাগছে। এই বয়সে এমন উদ্ভাবনী কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়। তাকে নিয়ে কীভাবে আরও কাজ করা যায়, এবং কিভাবে তার মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি।”

 


একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!