যশোরের শার্শা উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় বিএনপি কর্মী লিটন হত্যা মামলায় আরও চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে ঢাকা বিমানবন্দর ও সন্ধ্যায় তুরাগ এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন—মামলার অন্যতম আসামি মোমিন মিয়া, সেলিম মিয়া, আক্তার হোসেন ও রমজান আলী; সবাই শার্শার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দা ও লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের সূত্রে জানা যায়, ডিবির ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভূঞার নেতৃত্বে এসআই রাজেশ কুমার দাশ, এসআই কামাল হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শেখ আশরাফুল আলমের সমন্বয়ে একটি টিম প্রথমে ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেলিম মিয়াকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তুরাগ এলাকার একটি কবরস্থানের পাশ থেকে বাকি তিনজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আটককৃত রমজান আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও প্রদান করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ১০ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্গাপুর গ্রামের চেয়ারম্যান মোড়ে লিটনের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। ধারালো দা দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়। স্থানীয়রা লিটনের চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত লিটনের বাবা আজগর আলী ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে।
উল্লেখ্য, এর আগে ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতাসহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। তারা হলেন—আজগর আলী, শমসের আলী, শামসুর হক ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল হক মিয়া।
একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
