পদ্মার সৌন্দর্য উপভোগে শিবচরের সাংবাদিকদের নৌভ্রমণ

প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা আর রঙিন স্বপ্ন যেখানে সুখের ছোঁয়া দিতে ব্যর্থ, সেখানে একটি নৌভ্রমণ পারে নতুন সুখের দোলা দিতে। সম্প্রতি শিবচরে কর্মরত একঝাঁক সংবাদকর্মীর অংশগ্রহণে এমনই চমৎকার একটি নৌকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে। এমনিতে মানুষের কাছে সত্য, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে ব্যস্ত থাকলেও সাংবাদিকদের মনেও যে আর ৫-১০টা মানুষের মতোই নানা ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা থাকে, এটা তারই উদাহরণ।

পদ্মার বুকে জেগে উঠা চরগুলোয় বর্ষার নতুন পানির ছোঁয়া। মৃদুমন্দ বাতাস, পদ্মার ঢেউ আর মাথা তুলে দাঁড়ানো পদ্মাসেতু। সব মিলিয়ে পদ্মা নদীর সৌন্দর্য মুগ্ধ করে যে কাউকে। ঈদের ছুটি এই সৌন্দর্য দেখতেই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। পদ্মার এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে শিবচরে কর্মরত একঝাঁক সংবাদকর্মীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো নৌভ্রমণ।

বুধবার (১১ জুন) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিবচরের পদ্মানদীর সেতু সংলগ্ন এলাকা ভ্রমণ করেন সাংবাদিকেরা।

একটি নৌকা ভাড়া করা হয় কয়েক ঘণ্টার জন্য। সবাই ধীরে ধীরে নৌকায় উঠে বসেন। শান্ত নদীর সঙ্গে নিরিবিলি ছিল চারপাশের পরিবেশটাও। এরপর হঠাৎ সন্ধ্যা নেমে আসে। চারদিকের স্তব্ধতা আরও বেড়ে যায়, কিন্তু পদ্মাসেতুর সাথে ছবি তোলায় সবার বিরাম নেই। একের পর এক অঙ্গভঙ্গি করে ছবি তুলতে থাকেন সবাই।

সূর্যাস্ত উপভোগ, কাছ থেকে পদ্মাসেতু দর্শনসহ পদ্মানদীর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করেন সাংবাদিকেরা। এ সময় ঈদের ছুটিতে পদ্মাসেতুর পাড়ে শত শত দর্শনার্থীকে অবকাশ কাটাতে দেখা গেছে।

নৌভ্রমণে অতিথি হিসেবে সঙ্গী হয়েছিলেন সময় টেলিভিশনের ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ এম এ মান্নান মিয়া, কেবল টিভি দর্শক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন মুন্না এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক মো.মোশাররফ হোসেন।

জানা গেছে, পদ্মাপাড়ের বাসিন্দা এশিয়ান টেলিভিশনের শিবচর প্রতিনিধি মো. রুবেল মোড়লের আয়োজনে এই নৌভ্রমণে শিবচরের বিভিন্ন গণমাধ্যমের অন্তত চল্লিশজন সংবাদকর্মী অংশ নেন।

জানতে চাইলে আয়োজক সাংবাদিক রুবেল মোড়ল বলেন, শিবচরে কর্মরত সকল সাংবাদিকের জন্য এই নৌভ্রমণের আয়োজন ছিল। সকলের সাথে সকলের ভ্রাতৃত্ববন্ধন অটুট রাখা ছিল মূল উদ্দেশ্য। দলমত নির্বিশেষে আমরা পরস্পরের ভাই। ব্যস্ততার কারণে অনেকেই আসতে পারেননি। তবে এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে একটি প্রাণবন্ত সময় কেটেছে পদ্মার বুকে।

নৌভ্রমণ এবং নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে এ সময় বক্তব্য রাখেন সময় টিভির ন্যাশনাল ডেস্ক ইনটার্জ এমএ মান্নান মিয়া, ক্যাবল টিভি দর্শক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন মুন্না, বিজয় টেলিভিশন ও ভোরের ডাক পত্রিকার সাংবাদিক আবুল খায়ের খান, বাংলানিউজ ও আজকের পত্রিকার ইমতিয়াজ আহমেদ, ভোরের দর্পন পত্রিকার মীর ইমরান, দ্বীপ্ত টিভির রফিকুল ইসলাম রাজা, আমার দেশ পত্রিকার সরোয়ার হোসেন মিঠু, মানবজমিন পত্রিকার বিএম হায়দার আলী, একুশে সংবাদ.কম ও ডেইলি সান পত্রিকার এস.এম. দেলোয়ার হোসাইনসহ অন্যরা।

এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা নিজেদের অনুভুতি ব্যক্ত করেন। এবং আগামীতে এরকম ভ্রমণের আয়োজন অব্যাহত রাখার জন্য মতামত ব্যক্ত করেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. সাখাওয়াত মোল্লা (দৈনিক জনতা), কামরুল ইসলাম (জনকণ্ঠ), আহসান হাবীব শাহীন (নয়াদিগন্ত), মতিউর রহমান (দিনকাল), মো. বজলুর রহমান (দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ), নাজমুল হোসেন লাভলু (সকালের সময়), মো. সোবাহান মিয়া (নতুন বাংলার খবর), তামিম ইসমাইল (সময়ের কণ্ঠস্বর), এসকে শাহীন (ভোরের আকাশ), সৈয়দ সালোয়ার হোসেন (সংবাদ সারাক্ষণ), মো. রিয়াজ রহমান (লাল সবুজের দেশ), শাহীন বীন আনিস (দৈনিক জবাবদিহি) কৃষিবিদ মো. শাহীন (বাংলার নবকণ্ঠ), মাসুদুর রহমান (বাংলাদেশ সমাচার), খান ই আজম রুবেল, গোলাম মস্তফা (সংবাদ দিগন্ত), মো. সজিব (সকালের শিরোনাম), রবিন চৌধুরী, মেহেরাব হোসেন (দৈনিক হুংকার) প্রমুখ।

একুশে সংবাদ/ মা.প্র/এ.জে