AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ধামরাইয়ে মা-দুই ছেলেকে বালিশচাপায় হত্যা, জামাই আটক


Ekushey Sangbad
নাজমুল করিম, সাভার, ঢাকা
০৩:৪৫ পিএম, ৫ জুন, ২০২৫

ধামরাইয়ে মা-দুই ছেলেকে বালিশচাপায় হত্যা, জামাই আটক

ঢাকার ধামরাইয়ে বসতঘর থেকে মা ও দুই ছেলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলা। সংস্থাটির দাবি, প্রয়াত শ্বশুরের রেখে যাওয়া ডেকোরেটর ব্যবসার দেখভাল নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে বালিশচাপা দিয়ে তিনজনকে হত্যা করে মেয়ের জামাই রবিন (২২)। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরের দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান।

গত ২ জুন বিকেলের দিকে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রাম থেকে মা এবং দুই ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের জন্ম দেয়। এ ঘটনায় গত ৪ জুন মৃতের ভাই মো. আ. রশিদ (৪২) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা (নম্বর- ০৫) করেন।

গ্রেপ্তার রবিন ধামরাইয়ের আমতা ইউনিয়নের বালিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে।

নিহতরা হলেন, ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত এলাকার মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী নারগিস আক্তার (৩৭), তার দুই ছেলে মো. শামীম (২২) ও সোলাইমান (৮)। বড় ছেলে শামীম ডেকোরেটরের কাজ করতেন ও ছোট ছেলে সোলাইমান মায়ের কাছে থাকতেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১ জুন রাত ৯টা থেকে দুপুর ২টার দিকে অজ্ঞাত আসামি পরিবারটির বসত ঘরের টিনের বেড়ার দরজা খুলে ঢুকে পরিকল্পিতভাবে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ খাটের ওপর শুইয়ে রেখে কাঁথা দিয়ে ঢেকে রেখে যায়।

থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পিবিআই ঢাকা জেলা। এর ধারাবাহিকতায়, মেয়ের জামাই রবিন হত্যায় জড়িত রয়েছেন, এমন তথ্য উঠে আসে। এর জেরে গত ৪ জুন ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের মধুডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনিই হত্যায় জড়িতের বিষয়ে তথ্য দেন।

রবিনের বরাত দিয়ে পিবিআই এর দাবি, গত ১ জুন রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে ওই বাড়ির টিনের বেড়ার দরজা খুলে ঘরে ঢুকে প্রথমে বড় শ্যালক শামীমকে (২২) খাটের পাশে শোয়া দেখে তার মুখের ওপর বালিশ চাপা দিয়ে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর শাশুড়ি নারগিস (৩৭) ও সোলাইমানকে (৮) আরেক খাটে শোয়া দেখে একইভাবে তাদেরও মুখে বালিশ চাপা দিয়ে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর তিনজনের মরদেহ একই খাটে শুইয়ে কাঁথা দিয়ে ঢেকে ভোর ৪টার দিকে নিজের বাড়ি ফিরে আসে।

এদিকে পর দিন সকাল থেকে নারগিসের মেয়ে নাসরিন তার মাকে ফোন করতে থাকে, তবে তারা ফোন রিসিভ না করায় দুপুর ২টার দিকে তিনি মায়ের বাড়ি আসেন। ঘরে ঢুকে দেখতে পান, তার মা ও দুই ভাইকে মৃত অবস্থায় কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

পিবিআই এর দাবি, মূলত এক বছর আগে মারা যাওয়া শ্বশুর রাজা মিয়ার ডেকোরেটরের ব্যবসা দেখাশোনা নিয়ে তৈরি হওয়া পারিবারিক কলহের জেরে শ্বাশুরি ও দুই শ্যালককে হত্যা করে রবিন।
 

একুশে সংবাদ/ ঢা.প্র/এ.জে

Link copied!