মুন্সীগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। জেলার টঙ্গীবাড়ি, লৌহজং, শ্রীনগর ও গজারিয়ায় পৃথক পৃথক আয়োজনে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, মিলাদ, কাঙ্গালি ভোজ ও তবারক বিতরণ করা হয়।
টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। শুক্রবার (৩০ মে) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাঁলিগাঁও, আড়িয়ল, আউটশাহী, বেতকা, কামারখাড়া, সোনারং-টঙ্গীবাড়ি, কেঁচিমুলিয়া, পাঁচগাঁও, যশলং, দিঘীরপাড়সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মিজানুর রহমান সিনহা। তিনি বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আবার জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবো। ধৈর্য ধরুন, বিজয় আমাদের হবে।” এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন দোলন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জব্বার কাজী, এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
লৌহজং উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ। এ সময় দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব বাদল হোসেন হাওলাদার এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তানভীর আহমেদ। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন অমর ফারুক অবাক, আনসুর রহমান আনসি, রোকেয়া বেগম, হাজী মুক্তার হোসেন খানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে সকাল ১১টায় বাইপাস এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম মৃধা এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন। এতে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ছাড়াও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
গজারিয়া উপজেলায় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতনের পক্ষ থেকে। ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে কাঙ্গালি ভোজ ও তবারক বিতরণ করা হয়। এসব আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদল ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। কামরুজ্জামান রতন বলেন, “আজকের এই দিনে আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। মহান আল্লাহ শহীদ জিয়াউর রহমানকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।”
উল্লেখ্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
একুশে সংবাদ / মু.প্র/এ.জে