ভোলার চরফ্যাশনে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, স্বনির্ভর বাংলাদেশের রূপকার, মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)-এর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন খতম, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার দুলারহাট বাজারে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিএম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং ভোলা-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার উদ্যোগে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদান স্মরণ করে বলেন, “শহীদ জিয়া ছিলেন জাতির দুর্দিনের কাণ্ডারি। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষকই নন, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের অগ্রদূত। বহুদলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে তিনি দেশে গণতান্ত্রিক চেতনার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব আজও আমাদের পথ দেখায়।”
তিনি আরও বলেন, “বিগত ১৭ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং জাতির ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তারেক রহমান যে অবদান রেখেছেন, তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর নেতৃত্বে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় হাসিনা সরকারের অপশাসন থেকে মুক্তির পথ তৈরি হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারেক রহমান যে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, সে অনুযায়ী সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানাই।”
এ সময় তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “দলের কেউ যদি অপকর্ম করে, তাহলে তার দায় দল নেবে না। চরফ্যাশন-মনপুরা অঞ্চলে শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে চলতে হবে। আগামী দিনের চরফ্যাশন ও মনপুরা হবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত পরিচ্ছন্ন রাজনীতির একটি শহর।”
আলোচনা শেষে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
একুশে সংবাদ / ভো.প্র/এ.জে