মুকসুদপুরে সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। অফিসগামী কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, দিনমজুর, দোকানি- প্রায় সবাইকে নানা ধরনের ভোগান্তির মধ্য দিয়ে দিন শুরু করতে হয়েছে।
গণ পরিবহনে সংকট এবং চলাচলে চরম দুর্ভোগ। দীর্ঘ সময় রাস্তায় আটকে থেকে কর্মস্থলে পৌঁছতে দেরি হয়েছে মানুষের।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোর থেকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, যা সকাল ৭টার পর থেকে ক্রমশ বেড়ে যায়। ফলে দুর্ভোগ অব্যাহত থাকার আশঙ্কা করছেন মুকসুদপুরবাসী।
বৃষ্টির কারণে রাস্তায় চলাচলকারী লোকাল বাসের সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে কম। সকাল ৮টার দিকে অফিস টাইমে বাস না পেয়ে অনেকেই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মুকসুদপুরের প্রধান সড়কগুলোতে গাড়ির গতি প্রায় থেমে যায়।
স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা এই বৃষ্টিতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে পৌঁছতে পারেনি, কেউ কেউ পুরো ভিজে ক্লাসে উপস্থিত হয়েছে। অভিভাবকরাও দুশ্চিন্তায় ছিলেন সন্তানদের নিরাপদে স্কুলে পাঠানো নিয়ে।
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বৃষ্টি মানেই জীবিকা বন্ধ হয়ে যাওয়া। যারা রাস্তায় চা বিক্রি করেন, ভ্যান চালান বা নির্মাণশ্রমিক তাদের অনেকেই আজ কোনো কাজ পাননি।
নির্মাণ শ্রমিক রহমত আলী বলেন, আজ সাইটে কোনো কাজ হয়নি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, কেউ তো ডাকে না। ঘরে চাল নেই, কী করব বুঝতে পারছি না।
বৃষ্টির কারণে রাস্তায় মানুষ কম থাকায় ফুটপাতের দোকান, ছোট রেস্টুরেন্ট, কাপড় ও ফলের দোকানে বেচাকেনা কমে গেছে। ব্যবসায়ী গাউস মিয়া বলছেন, সকাল থেকে প্রায় কেউই দোকানে আসেনি।
একুশে সংবাদ / গো.প্র/এ.জে