সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক আর নেই। রবিবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার ইব্রাহীম মেমোরিয়াল কার্ডিয়াক হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিকেলে গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা রাবেয়া খাতুন হাফেজিয়া মাদরাসা মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
বিচারপতি মানিক ছিলেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। স্বাধীনতা-উত্তর রাজনৈতিক অঙ্গনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। পরবর্তীতে তিনি আপিল বিভাগে উন্নীত হন এবং অবসর গ্রহণের পর শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যুকালে বিচারপতি মানিক দুই কন্যা, এক ছেলে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক, বিচারিক ও মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপুষ্ট এক বিচারক, যিনি রাজনীতি, প্রশাসন ও বিচার বিভাগে দীর্ঘ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন একাধারে তার অবদানের স্বীকৃতি ও জাতির শ্রদ্ধা জানানোর প্রতীক হয়ে থাকবে।
একুশে সংবাদ/ ঢ.প/এ.জে